কক্সবাজারের পিএমখালীর মোরশেদ আলী (৪০) ইফতারি কেনার জন্য স্থানীয় চেরাংঘর স্টেশনে জনসম্মুখে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যায় জড়িত অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) ভোরে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে এদের গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭ চট্টগ্রাম। মোরশেদ পিএমখালী ইউনিয়নের মাইজপাড়ার মৃত মাওলানা ওমর আলীর ছেলে। গত বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে চেরাংঘর স্টেশনেে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলো—মোহাম্মদ আলী ওরফে মোহাম্মদ, মোহাম্মদুল হক ওরফে মাহমুদুল হক, আবদুল্লাহ, আব্দুল আজিজ ও নুরুল হক।
গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, মোরশেদ হত্যার আগে মার সহ্য করতে না পেরে আসামিদের কাছে আকুতি করে বলেছিলেন
‘এখন ক্লান্ত লাগছে, একটু পর ইফতার করবো। ইফতার শেষ হলেই তোমরা আমাকে মেরো। কিন্তু আসামিরা তার আকুতি শোনেনি। ইফতারের আগ মুহূর্তে প্রকাশ্যে মোরশেদকে কুপিয়ে হত্যা করে।র্যাব-৭ সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নূরুল আবছার জানান, ৭ এপ্রিল ইফতার কিনতে বাড়ি থেকে বের হন মোরশেদ। চেরাংঘর স্টেশনে পোঁছালে আসামিরা দুদিকের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। মোরশেদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালিয়ে মাটিতে ফেলে কিরিচ দিয়ে মাথায় আঘাত করতে থাকে। এরপর হামলায় অংশ নেওয়া আবদুল্লাহ ও আব্দুল আজিজ লাঠি ও রড দিয়ে আঘাত করে। মোরশেদ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে মাহমুদুল হক ধারালো কিরিচ দিয়ে ডান হাতের কবজি প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। সবশেষ মোহাম্মদ আলী হাতুড়ি দিয়ে মোরশেদের অণ্ডকোষে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য। মাহমুদুল হক হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী। মদতদাতা ছিল তার ভাই নুরুল হক।
উল্লেখ্য, গত ৭ এপ্রিল কক্সবাজারের পিএমখালীর বাসিন্দা মোরশেদকে ইফতারি কেনার জন্য চেরাংঘর স্টেশনে বের হলে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়। হামলাকারীরা চলে গেলে স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।